এল আর বাদল: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) চলতি আসর থেকে কোন দল বাদ যাবে আর কোন চারদল নকআউট পর্বে যাবে, আসর শুরুর আগেই এ নিয়ে অঙ্ক কষতে শুরু করেছিলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। হয়তো বা কারো না কারো হিসাব ওলট-পালট করেই বিপিএল থেকে প্রথম দল হিসাবে বিদায় নিলো তামিম ইকবালের খুলনা টাইগার্স।

এখন পর্যন্ত ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুইয়ে থাকা বরিশালের পয়েন্ট ১৪। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে কুমিল্লা, ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে রংপুর রাইডার্স। অর্থাৎ খুলনা বাকি দুই ম্যাচে জিতলেও রংপুরকে পেছনে ফেলতে পারবে না তারা। কারণ ১০ ম্যাচ শেষে খুলনার সংগ্রহ মাত্র ৪ পয়েন্ট। 

শুক্রবার বিপিএলের শেষ পর্বের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল এবং খুলনা টাইগার্স। শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাওয়া সাকিবের দলের সামনে এই ম্যাচ ছিল সেরা দুইয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখার।

এদিন মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে ফরচুন বরিশাল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৮ উইকেট হারালেও ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

এবারের মৌসুমে ব্যাট হাতে বরিশালের ব্যাটসম্যানরা আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে দুরন্ত গতিতে রান তুলছে। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। উইকেট গেলেও নিজেদের আক্রমণাত্মক মানসিকতার সঙ্গে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি বরিশালের ব্যাটাররা।

বরিশালের পক্ষে এদিন সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে ফর্মে থাকা ইফতিখারের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া রাব্বি ৩৯ এবং অধিনায়ক সাকিব করেন ৩৬ রান। 

খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পল ফন মিকেরেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইয়াসির রাব্বি এবং অধিনায়ক শেই হোপ ছাড়া আর কেউই ভালো ক্রিকেট উপহার দিতে পারেননি। খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ইয়াসির। শেই হোপের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। বরিশালের পক্ষে করিম জানাত ৪ এবং খালেদ ২টি উইকেট শিকার করেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব